আমরা মুসলিম জাতি। আমাদের ধর্ম ইসলাম। সমগ্র পৃথিবীতে অগণিত ধর্ম রয়েছে। তার মধ্যে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম হলো ইসলাম। এই ধর্মের নিদিষ্ট শিক্ষা ও সংস্কৃতি রয়েছে। যা সর্বজনীন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠান হলো ইসলাম ধর্মের অন্যতম একটি শিক্ষা ও সংস্কৃতি। সারা পৃথিবীর মুসলিম সম্প্রদায় এ শিক্ষা ও সংস্কৃতি অনুসরণ করার চেষ্টা করে। বিশেষ করে আমাদের বাংলাদেশে প্রাচীন কাল হতেই মুসলমানরা বিভিন্ন উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। মিলাদ ও দোয়া হলো মহান আল্লাহর নিকট বান্দার প্রার্থনার মাধ্যম, কোরআন হাদিসে এই বিষয়টির প্রতি বিভিন্নভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে। তাই মুসলমানরা ব্যক্তিগত ভাবে এবং সমষ্টিগত ভাবে মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করে থাকে। প্রধানত দুটি উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন হয়ে থাকে। একটি হলো মৃত ব্যক্তিদের সওয়াব রেসানীর উদ্দেশ্যে করা হয়। অর্থ্যৎ জীবিত ব্যক্তিরা তাদের মৃত বা মরহুম ব্যক্তিদের স্বরণ করে নেক আমল করেন সেই নেক আমলের সওয়াব মৃতদের রুহের মাগফিরাতের জন্য বখশিশ করে দেন। আর দ্বিতীয়টি হলো জীবিত ব্যক্তিরা তাদের ভবিষ্যতের কোনো ভালো কাজ সম্পাদনের উদ্দেশ্যে মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করে থাকে। যেমন- নতুন ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করার আগে, নতুন ঘরে বা ফ্লাটে উঠার আগে ইত্যাদি বছরের শুরুতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে “বার্ষিক মিলাদ” অনুষ্ঠিত হয়। মূলত সারা বছর ছাত্র/ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মচারী সকলে যেন সুস্থ ও নিরাপদ থাকেন সেই জন্য মহান আল্লাহর সাহায্য চাওয়া হয়। মিলাদ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। তাই আমরা মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠানের গুরুত্ব অনুধাবন করবো এবং সাধ্যমত মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করার চেষ্টা করবো। মহান আল্লাহ আমাদের কে সকল নেক কাজ সুন্দরভাবে সম্পাদন করার তাওফিক দান করুন। আমীন।